২
৬ নভেম্বর রাতে প্রণব মুখার্জি মুম্বাই হামলার খবরটা পান। প্রণব তড়িঘড়ি তার চণ্ডীগড় যাওয়া বাতিল করে দেন। সেই সময়ে প্রণব মুখার্জির আমন্ত্রণে দিল্লির হায়েদ্রাবাদ ভবনে এসে উঠেছিলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি। তিনি কোরেশিকে নিজ দেশে ফিরে যেতে পরামর্শ দেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি বিমান এসে কোরেশিকে নিয়ে যায়।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?
দিনটা ২৬ নভেম্বর ২০০৮। সময়টা সন্ধ্যে থেকে রাতের দিকে গড়িয়েছে মাত্র। ওই দিন তাজ হোটেলে একটি সম্মেলন ছিল, যেমন আর পাঁচটা দিনই থাকে। রাত নটার দিকে হোটেলের মধ্যে এক বিশৃঙ্খলার খবর আসে। উপস্থিত সমস্ত হোটেলকর্মী এবং অতিথিদের হোটেল ছেড়ে যেতে নিষেধ করা হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে জানানো হয়, হোটেলে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। জানালার কাছে যেতে নিষেধ করা হয়। বাইরের বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সকলেই প্রার্থনা করতে থাকেন।
দিনটা ২৬ নভেম্বর ২০০৮। সময়টা সন্ধ্যে থেকে রাতের দিকে গড়িয়েছে মাত্র। ওই দিন তাজ হোটেলে একটি সম্মেলন ছিল, যেমন আর পাঁচটা দিনই থাকে। রাত নটার দিকে হোটেলের মধ্যে এক বিশৃঙ্খলার খবর আসে। উপস্থিত সমস্ত হোটেলকর্মী এবং অতিথিদের হোটেল ছেড়ে যেতে নিষেধ করা হয়। ১০ মিনিটের মধ্যে জানানো হয়, হোটেলে সন্ত্রাসবাদী হামলা হয়েছে। জানালার কাছে যেতে নিষেধ করা হয়। বাইরের বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সকলেই প্রার্থনা করতে থাকেন।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোটেলের ২২ তলায় আটকে ছিলেন প্রচুর মানুষ। প্রথমে তাঁদের সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু কাজটি সহজ ছিল না। সে সময়ের মানসিক ধাক্কা কাটাতে ছয় মাস ধরে মনোবিদের কাছে চিকিৎসা নিতে হয় দিলীপকে। তবে এখন নিজের শহর মুম্বাইকে নিরাপদ ভাবেন দিলীপ মেহতা। ২০১৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে সন্ত্রাসের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন জনৈক দিলীপ মেহতা, যিনি নিজে ঘটনার দিন তাজ হোটেলে আমন্ত্রিত ছিলেন। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, "সে সময়ের মানসিক ধাক্কা কাটাতে আমাকে ছয় মাস ধরে মনোবিদের কাছে চিকিৎসা নাইট হয়। তবে এখন নিজের শহর মুম্বাইকে নিরাপদ বলেই মনে হয়। জঙ্গিদের শনাক্ত করতে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন আর কেউ আমাদের ওপর হামলা চালাতে সাহস করবে না।"
ঘটনাপ্রবাহ এক নজরে
ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেল স্টেশন:
২৬ নভেম্বর, ২০০৮ - ৯০ মিনিটের আক্রমণে প্রায় ৫৮ জন নিহত হন। বন্দুকধারীরা ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ব্যারিকেডের চারপাশে জড়ো হওয়া ভিড়ের দিকে গুলি চালায়। স্টেশনের বাইরে ১০ জন অতিরিক্ত লোক নিহত হন।
ক্যাফে লিওপোল্ড:
২৬ নভেম্বর, ২০০৮ - ১০ থেকে ১৫ মিনিটের একটি আক্রমণে প্রায় ১০ জন মানুষ নিহত হয়।
কামা এবং অ্যালব্লস হাসপাতাল:
২৬ নভেম্বর, ২০০৮ - হাসপাতালের বাইরে বন্দুকধারীরা পুলিশ অফিসারদের একটি দল আক্রমণ করে এবং তাদের মধ্যে ৬ জনকে নির্বিচারে হত্যা করে।
নরিম্যান হাউস:
২৬-২৮ নভেম্বর, ২০০৮ - ইহুদি সম্প্রদায়ের এই কেন্দ্রে তিন দিনের অবরোধ চলাকালীন ৭ জন নিহত হন।
ওবেরয়-ট্রাইডেন্ট হোটেল:
২৬-২৮ নভেম্বর, ২০০৮ - তিন দিনের অবরোধ চলাকালীন প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
Tajmahal Palace and Tower Hotel :
২৭-২৯ নভেম্বর, ২০০৮ - চার দিনের অবরোধ চলাকালীন প্রায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
বন্দর এলাকা:
২৮ নভেম্বর, ২০০৮ - দক্ষিণ মুম্বাইয়ের বন্দর এলাকার মাজাগাও ও ভিলে পার্লের একটি ট্যাক্সির মধ্যেও বিস্ফোরণ ঘটে।
২৮ নভেম্বর সকালের মধ্যেই মুম্বই পুলিশ ও অন্যান্য রক্ষীবাহিনী তাজ হোটেল ছাড়া অন্য সব আক্রান্ত স্থান সুরক্ষিত করে ফেলে।
২৯ নভেম্বর ভারতের জাতীয় রক্ষী বাহিনী (এনএসজি) তাজ হোটেলে আশ্রয়গ্রহণকারী অবশিষ্ট জঙ্গিদের হত্যা করে (এই অপারেশনটির নাম ছিল অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো) এবং শহরকে জঙ্গিমুক্ত করে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ - একমাত্র জীবিত বন্দুকধারী আজমল কাসাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
৩ অক্টোবর, ২০০৯ - মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি (ওরফে দাউদ গিলানি) শিকাগোয় গ্রেপ্তার হন।
১৮ অক্টোবর, ২০০৯ - কানাডার নাগরিক তাহাভুর হুসেন রানা শিকাগোয় গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের হামলা য় পাকিস্তান ভ্রমণের জন্য ভুয়ো ভিসা পাওয়ার সহায়তা করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
২৫ নভেম্বর, ২০০৯ - মাস্টারমাইন্ড জাকির-উর-রেহমান-লাখভি সহ এই ঘটনায় পাকিস্তানের সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
১৮ মার্চ, ২০১০ - হেডলি দোষ স্বীকার করে নেন।
৩ মে, ২০১০ - হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য কাসাবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
৬ মে, ২০১০ - কাসাবের ফাঁসির আদেশ।
৯ জুন, ২০১১ - রানা মুম্বই আক্রমণকারীদের উপাদান সরবরাহের ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী হিসাবে চিহ্নিত হননি।
২১ নভেম্বর, ২০১২ - কাসাবকে সকাল সাড়ে সাতটায় একটি ভারতীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
২৪ জানুয়ারী, ২০১৩ - হেডলিকে ৩৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
১৩ মার্চ, ২০১৫ - পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট লাখভির আটককে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করে তাঁর মুক্তির আদেশ দেন।
১০ এপ্রিল, ২০১৫ - লাখভি জামিনে মুক্তি পান।
২৯ জানুয়ারি ২০১৭ - মুম্বাই হামলার সন্দেহভাজন ভূমিকার জন্য লস্কর-ই-তৈয়িবা সম্পর্কিত একটি গ্রুপের নেতা হাফিজ মোহাম্মদ সাঈদকে পাকিস্তানে গৃহবন্দী করা হয়।
২৪ নভেম্বর, ২০১৭ - লাহোর হাইকোর্ট প্রমাণের অভাবে সাঈদকে গৃহবন্দী থেকে মুক্তি দেয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সাইদকে লস্কর-ই-তৈয়িবা নেতা হিসাবে চিহ্নিত করে বলে যে তাঁর মুক্তি নিয়ে তাঁরা "গভীর উদ্বিগ্ন"।
১৭ জুলাই, ২০১৯ - মুম্বাই হামলার সাথে সম্পর্কহীন সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন সংক্রান্ত অভিযোগে সাঈদকে পাকিস্তানের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ গ্রেপ্তার করে।
ইন্টারনেট ঘাঁটলেই মুম্বাই হামলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, যাবতীয় নথি এবং মুম্বাই হামলার পেছনে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ও গোটা বিশ্বে তার প্রভাবের যথাযথ বিবরণ পাবেন। নিচে কয়েকটি ওয়েবসাইটের লিংক দিলাম, এখানে ক্লিক করলে মুম্বাই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন :
মুম্বাই হামলার ১০ বছর : ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো কী করেছে
মুম্বাই হামলা ও ক্রমাগত বদলে যাওয়া ভারত
Mumbai attacks of 2008
Terrorists attack Mumbai
2008_Mumbai attacks Wikipedia
যেসব ডকুমেন্টারি এবং পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে মুম্বাই হামলার ঘটনার বিবরণ আছে :
Terror in Mumbai (2009)
The attacks of 26/11 (2013)
Taj Mahal (2015)
Mumbai Siege: 4 Days of Terror (2017)
Operation Black Tornado (2018)
Hotel Mumbai (2019)
মুম্বাই হামলা বিষয়ক বই :
The Siege: The Attack on the Taj (by Cathy Scott-Clerk and Adrian Levy).
26/11: RSS ki Saazish ? (Aziz Burney)
ক্যাফে লিওপোল্ড:
২৬ নভেম্বর, ২০০৮ - ১০ থেকে ১৫ মিনিটের একটি আক্রমণে প্রায় ১০ জন মানুষ নিহত হয়।
কামা এবং অ্যালব্লস হাসপাতাল:
২৬ নভেম্বর, ২০০৮ - হাসপাতালের বাইরে বন্দুকধারীরা পুলিশ অফিসারদের একটি দল আক্রমণ করে এবং তাদের মধ্যে ৬ জনকে নির্বিচারে হত্যা করে।
নরিম্যান হাউস:
২৬-২৮ নভেম্বর, ২০০৮ - ইহুদি সম্প্রদায়ের এই কেন্দ্রে তিন দিনের অবরোধ চলাকালীন ৭ জন নিহত হন।
ওবেরয়-ট্রাইডেন্ট হোটেল:
২৬-২৮ নভেম্বর, ২০০৮ - তিন দিনের অবরোধ চলাকালীন প্রায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
Tajmahal Palace and Tower Hotel :
২৭-২৯ নভেম্বর, ২০০৮ - চার দিনের অবরোধ চলাকালীন প্রায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
বন্দর এলাকা:
২৮ নভেম্বর, ২০০৮ - দক্ষিণ মুম্বাইয়ের বন্দর এলাকার মাজাগাও ও ভিলে পার্লের একটি ট্যাক্সির মধ্যেও বিস্ফোরণ ঘটে।
২৮ নভেম্বর সকালের মধ্যেই মুম্বই পুলিশ ও অন্যান্য রক্ষীবাহিনী তাজ হোটেল ছাড়া অন্য সব আক্রান্ত স্থান সুরক্ষিত করে ফেলে।
২৯ নভেম্বর ভারতের জাতীয় রক্ষী বাহিনী (এনএসজি) তাজ হোটেলে আশ্রয়গ্রহণকারী অবশিষ্ট জঙ্গিদের হত্যা করে (এই অপারেশনটির নাম ছিল অপারেশন ব্ল্যাক টর্নেডো) এবং শহরকে জঙ্গিমুক্ত করে।
২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ - একমাত্র জীবিত বন্দুকধারী আজমল কাসাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
৩ অক্টোবর, ২০০৯ - মার্কিন নাগরিক ডেভিড কোলম্যান হেডলি (ওরফে দাউদ গিলানি) শিকাগোয় গ্রেপ্তার হন।
১৮ অক্টোবর, ২০০৯ - কানাডার নাগরিক তাহাভুর হুসেন রানা শিকাগোয় গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের হামলা য় পাকিস্তান ভ্রমণের জন্য ভুয়ো ভিসা পাওয়ার সহায়তা করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
২৫ নভেম্বর, ২০০৯ - মাস্টারমাইন্ড জাকির-উর-রেহমান-লাখভি সহ এই ঘটনায় পাকিস্তানের সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
১৮ মার্চ, ২০১০ - হেডলি দোষ স্বীকার করে নেন।
৩ মে, ২০১০ - হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য কাসাবকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
৬ মে, ২০১০ - কাসাবের ফাঁসির আদেশ।
৯ জুন, ২০১১ - রানা মুম্বই আক্রমণকারীদের উপাদান সরবরাহের ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী হিসাবে চিহ্নিত হননি।
২১ নভেম্বর, ২০১২ - কাসাবকে সকাল সাড়ে সাতটায় একটি ভারতীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়।
২৪ জানুয়ারী, ২০১৩ - হেডলিকে ৩৫ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
১৩ মার্চ, ২০১৫ - পাকিস্তানের ইসলামাবাদ হাইকোর্ট লাখভির আটককে অবৈধ বলে আখ্যায়িত করে তাঁর মুক্তির আদেশ দেন।
১০ এপ্রিল, ২০১৫ - লাখভি জামিনে মুক্তি পান।
২৯ জানুয়ারি ২০১৭ - মুম্বাই হামলার সন্দেহভাজন ভূমিকার জন্য লস্কর-ই-তৈয়িবা সম্পর্কিত একটি গ্রুপের নেতা হাফিজ মোহাম্মদ সাঈদকে পাকিস্তানে গৃহবন্দী করা হয়।
২৪ নভেম্বর, ২০১৭ - লাহোর হাইকোর্ট প্রমাণের অভাবে সাঈদকে গৃহবন্দী থেকে মুক্তি দেয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সাইদকে লস্কর-ই-তৈয়িবা নেতা হিসাবে চিহ্নিত করে বলে যে তাঁর মুক্তি নিয়ে তাঁরা "গভীর উদ্বিগ্ন"।
১৭ জুলাই, ২০১৯ - মুম্বাই হামলার সাথে সম্পর্কহীন সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন সংক্রান্ত অভিযোগে সাঈদকে পাকিস্তানের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ গ্রেপ্তার করে।
ইন্টারনেট ঘাঁটলেই মুম্বাই হামলা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য, যাবতীয় নথি এবং মুম্বাই হামলার পেছনে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ও গোটা বিশ্বে তার প্রভাবের যথাযথ বিবরণ পাবেন। নিচে কয়েকটি ওয়েবসাইটের লিংক দিলাম, এখানে ক্লিক করলে মুম্বাই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন :
মুম্বাই হামলার ১০ বছর : ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো কী করেছে
মুম্বাই হামলা ও ক্রমাগত বদলে যাওয়া ভারত
Mumbai attacks of 2008
Terrorists attack Mumbai
2008_Mumbai attacks Wikipedia
যেসব ডকুমেন্টারি এবং পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে মুম্বাই হামলার ঘটনার বিবরণ আছে :
Terror in Mumbai (2009)
The attacks of 26/11 (2013)
Taj Mahal (2015)
Mumbai Siege: 4 Days of Terror (2017)
Operation Black Tornado (2018)
Hotel Mumbai (2019)
মুম্বাই হামলা বিষয়ক বই :
The Siege: The Attack on the Taj (by Cathy Scott-Clerk and Adrian Levy).
26/11: RSS ki Saazish ? (Aziz Burney)




0 মন্তব্যসমূহ